ভানুয়াতুতে ঘূর্ণিঝড় পামের আঘাতে অর্ধশতাধিক নিহতের শঙ্কা
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘পামে’র আঘাতে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজধানী পোর্ট ভিলাসহ পুরো অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি নিকটবর্তী ফিজতেও আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ২৭০ কিলোমিটার বেগে ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির পেনামা প্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এ সময় প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসে বহু ভবন ধসে যায়। এ ছাড়া গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। এ ছাড়া প্রবল বন্যার কারণে ভানুয়াতুর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় টুভালু দ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পামের আঘাতে ভানুয়াতুর পাশের কিরিবাতি ও সলোমান দ্বীপপুঞ্জেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভানুয়াতুর ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় ৬৫ হাজার মানুষের বাস। আর ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত অন্যান্য এলাকায় বাস করেন আরো ৩৩ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের দিকে বাতাসের তেজ কমতে থাকে। পাম আঘাত হানার আগেই ভানুয়াতুতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। বহু বাসিন্দাকে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পোর্ট ভিলে থাকা জরুরি যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা চোলে মরিসন বলেন, বর্তমানে রাজধানীর রাস্তায় বাড়িঘরের ছাদ, ভগ্নাংশ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ তারসহ উপড়ে পড়া গাছপালা ছড়িয়ে আছে। রাজধানীতে বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। তিনি জানান, পোর্ট ভিলের বাইরে অনেক এলাকায় আরো ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থা ঘূণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এই অঞ্চলে দ্রুত সহায়তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। ওই এলাকায় জরুরি সহায়তার জন্য সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলকার মানুষের সহায়তায় নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে।