আইনস্টাইনের তত্ত্ব প্রমাণে নেতৃত্ব নার্সের ছেলের!
মা ছিলেন বিহারের ধানবাদ সরকারি হাসপাতালের নার্স। বাবা কাজ করতেন পশ্চিম বঙ্গের বিদ্যুৎ কোম্পানিতে। কিন্তু ছেলে আনন্দ সেনগুপ্তর শখ মহাবিশ্ব ঘুরে দেখা। বড় হয়ে শুধু শখ মোটানোই নয়, প্রমাণ দিলেন আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তত্ত্বের।
আনন্দ সেনগুপ্ত ভারতের গান্ধীনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি-জিএন) অধ্যাপক। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ চিহ্ণিত করতে কাজ করা ভারতের ‘লিগো’ প্রকল্প গবেষকদলের প্রধান তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ভারতের নয়টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গড়ে ওঠে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ বা ইন্ডিগো।
লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল-ওয়েব অবজারভেটরি সাইনটিফিক কোল্যাবরেশন বা লিগো বিজ্ঞানীদের একটি সংগঠন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সংগঠনের বিজ্ঞানীদল কাজ করছেন।
সম্প্রতি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা গেছে বলে ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স নামক এক বিজ্ঞান সাময়িকী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিশ্বখ্যাত পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ১০০ বছর আগে ১৯১৫ সালে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের অস্তিত্বের কথা জানান। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা গেছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানার লিবিংস্টোন ও ওয়াশিংটনের হ্যানফোর্ডের লিগোর পরিচালকরা।
আনন্দ সেনগুপ্ত ২০১২ সালে আইআইটি-জিএনে যোগ দেন। এরপর ১৩ বছর ধরে তিনি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ, জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রেখেছেন।
যখন মহাবিশ্ব তত্ত্ব নিয়ে আনন্দ সেনগুপ্ত পিএইচডি করছিলেন তখন থেকেই মহাজাগতিক তরঙ্গ নিয়ে তাঁর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আনন্দ সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি জানতাম বিষয়টি খুবই কঠিন। আর যুগের পর যুগ এর রহস্য উদ্ঘাটনে সময় লেগে যাবে। কিন্তু কেন এটি কঠিন সেটা জানতে কৌতূহলী হয়ে উঠি আমি।’