পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে আইসিইউতে ধর্ষণ

Looks like you've blocked notifications!
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে হরিয়ানার বেসরকারি হাসপাতালটিতে প্রবেশ করছেন। ছবি : সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

কয়েক দিন আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী। আর শনিবার দিবাগত রাতে সেখানেই ধর্ষণের শিকার হলেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ঝাজ্জার জেলার বাহাদুরগড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে। ২২ বছর বয়সী ওই প্রসূতিকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে ডেকান ক্রনিক্যালের সংবাদে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখে ধর্ষককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বাহাদুরগড় ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ধারণকৃত এই ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতালের বাইরে এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালে ঢুকছে।

রোববার সকালে ঝাজ্জারের পুলিশ সুপার (এসপি) সুমিত কুমার জানান, রাতে বহিরাগত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রথমে ওই নারী ভেবেছিলেন, ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করছেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। আর ধর্ষণের পর আইসিইউ থেকে ওই ব্যক্তি হেঁটে বেরিয়ে যান।

এসপি বলেন, ‘সিসিটিভিতে ধারণকৃত দৃশ্য থেকে ওই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। ফুটেজ থেকে আমরা যে ক্লু পেয়েছি আশা করি খুব শিগগির তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’

হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, ‘এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের মতো সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেছিলেন। এ ঘটনার পর ওই নারী তাঁর স্বামীকে এই ঘটনার কথা জানান। পরে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ধারায় ওই নারীর স্বামী একটি মামলা করেছেন।