নকলে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের কলেজ ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
শিক্ষার্থীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের জানালার কাচ। ছবি : সংগৃহীত

পরীক্ষার হলে নকল করতে না দেওয়ায় কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। এমনকি পরীক্ষার হলে টহলরত শিক্ষকদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়ে গেছে ‘কীর্তিমানরা’। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত শহর বনগাঁয় আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে ঘিরে প্রকাশ্যে নকলের দাবিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়েছে খোদ পরীক্ষার্থীরাই। আজ ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। অন্যান্য দিনের মতোই আজ সকালে ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়ার পরেই পরীক্ষার্থীরা দাবি তোলে, প্রশ্ন কঠিন হয়েছে,  তাদের ‘টুকলি’ করতে দিতে হবে।

যদিও পরীক্ষার্থীদের এই দাবি ওঠামাত্রই তা একবাক্যে খারিজ করে দেন শক্তিগড় হাইস্কুলের শিক্ষকরা। উলটো পরীক্ষার্থীদের এমন দুঃসাহসের কারণে কড়া গার্ড দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। আর এতেই খেপে যায় পরীক্ষার্থীরা।

কোনোমতে  দুপুর ২টা নাগাদ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই পরীক্ষার্থীরা সমবেতভাবে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজিত পরীক্ষার্থীরা শক্তিগড় হাইস্কুলে ভাঙচুরও চালায়। স্কুলের জানালার কাচ, চেয়ার, টেবিল, আলমারি, সিলিং ফ্যানসহ হাতের সামনে যা পেয়েছে সেটাই ভাঙচুর চালাতে থাকে পরীক্ষার্থীরা। আর পরীক্ষার্থীদের এমন রুদ্রমূর্তি দেখে স্কুলের শিক্ষকরা ভয়ে স্কুলের টিচারস রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এই অবস্থায় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে পরীক্ষার্থীরা তাণ্ডব চালাতে থাকে গোটা স্কুলজুড়ে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে শিক্ষকরা বনগাঁ থানা ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ফোন করেন। আর ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি স্কুলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্কুলে ব্যাপক হারে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হলেও নির্দিষ্ট কোনো ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ না হওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

তবে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা। তাঁরা এই ব্যাপারে দায়ী ছাত্রদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সাংবাদিকদের।