ফিলিপিনো ব্যাংক ম্যানেজারের গাড়িতে তোলা হয় চুরির অর্থ!
ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক (ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার) মাইয়া স্যান্তোস-দেগুইতোর গাড়িতে ২০ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপিনো মুদ্রা) তুলতে দেখেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
ধারণা করা হচ্ছে, এ অর্থ ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন (আট কোটি ১০ লাখ) ডলারের অংশ। আজ বৃহস্পতিবার ওই প্রত্যক্ষদর্শী ফিলিপাইনের সিনেট কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ কথা জানান। প্রত্যক্ষদর্শীর নাম রমুয়ালদো আগারাদো। তিনি মাকাতি সিটিতে আরসিবিসির জুপিটার শাখার সাবেক কাস্টমার সার্ভিস প্রধান।
আগারাদো বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ব্যক্তিগতভাবে কাগজের ব্যাগে ভরে ২০ মিলিয়ন পেসো দেগুইতোর গাড়িতে তুলতে দেখেছেন। সেসময় বলা হয়েছিল, চীনের ব্যবসায়ী উইলিয়াম গোর রেমিট্যান্সের অর্থ এটা।
আগারাদো জানান, সেদিন বিকেলে আরসিবিসির ওই শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যাঞ্জেলা তোরেসকে ক্যাশ সেন্টার থেকে ২০ মিলিয়ন পেসো নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাশ সেন্টার থেকে সশস্ত্র গাড়িটি আসে। আমরা সেই অর্থ গুনেছি, এর পরিমাণ ছিল ২০ মিলিয়ন পেসো।’
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার মধ্যে গণনাকারী এসে একটি বাক্সে ভরেন এবং গোনেন। এবং এরপর তিনি শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া দেগুইতোর কক্ষে অর্থ রেখে আসেন। সেই সময় মাইয়া দেগুইতো বাইরে ছিলেন। আমার মনে হয়, তিনি এ সময় ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলছিলেন।’
আগারাদো বলেন, ‘আমি এসব পরিষ্কার দেখতে পেয়েছি, কারণ আমি ব্যাংকের মূল দরজার সামনে বসেছিলাম। দরজা কাচের তৈরি হওয়ায় বাইরে দেখতে কোনো সমস্যা হয়নি, যদিও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বা পৌনে ৭টার মতো বাজে, কার্যালয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো ছিল।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। চলতি মাসে এই চুরি যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার গভর্নর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ড. আতিউর রহমান।