চুরি হওয়া রিজার্ভ উদ্ধারের সম্ভাবনা খুব কম
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন (আট কোটি ১০ লাখ) ডলার উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুব কম। ফিলিপাইনের সিনেটর তৃতীয় সের্গিও ওসমেনা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সম্ভবত এই অর্থ এরই মধ্যে তাঁর দেশের বাইরে গেছে।
ওসমেনা বলেন, তবু অর্থ কোথায় আছে তা জানতে তাঁর ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোর সহায়তা দরকার। আজ বৃহস্পতিবার সিনেটের তদন্ত কার্যক্রমের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
আরেক সিনেটর তৃতীয় তিওফিস্তো গিনগোনা বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করা খুব কঠিন। কারণ এটা কৃষ্ণগহ্বরে প্রবেশ করেছে। অর্থ চুরির ঘটনায় গঠিত ব্লু রিবন কমিটি তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
ফিলিপাইনের মাকাতি সিটিতে নিজ কার্যালয়ে ওসমেনা বলেন, ‘ক্যাসিনো থেকে আমরা আরো তথ্য জানার চেষ্টা করব। সোলেইর (সোলেইর রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো)-এর প্রেসিডেন্টকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি, কারণ তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আর তাঁর পাঠানো প্রতিনিধি অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না।’
ওই সিনেটর বলেন, কোন কোন ক্যাসিনো থেকে অর্থ কোথায় গেল তা তাঁরা বের করতে চান, অর্থ গ্রহণ করার রেকর্ড তারা (ক্যাসিনো) দেখাবে এবং এসব অর্থ কার কার কাছে গেল এসব রেকর্ডও তাঁরা বের করবেন।
ওসমেনা জানান, তদন্ত কমিটি ক্যাসিনোগুলো থেকে ইলেকট্রনিক প্রমাণ (ট্রেইল) সন্ধান করছে। আইন অনুযায়ী ক্যাসিনোগুলোকে জিজ্ঞাসা করতে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর দেশের আইন অপরাধীদের বেশি সুরক্ষা দেয়, সরকারকে নয়।
এদিকে তদন্ত কমিটিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক (ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার) মাইয়া স্যান্তোস-দেগুইতোর গাড়িতে ২০ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপিনো মুদ্রা) তুলতে দেখেছেন তিনি। তাঁর ধারণা, এ অর্থ ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন (আট কোটি ১০ লাখ) ডলারের অংশ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। চলতি মাসে এই চুরি যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার গভর্নর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ড. আতিউর রহমান।