নাউরু দ্বীপে গায়ে আগুন দিয়ে শরণার্থীর আত্মহত্যা

Looks like you've blocked notifications!
নাউরু দ্বীপের শরণার্থী শিবিরে ইরানি নাগরিক ওমিদ। ছবি : বিবিসি

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দ্বীপরাষ্ট্র নাউরুর শরণার্থী কেন্দ্রে ইরানের ২৩ বছর বয়সী এক আশ্রয়প্রার্থী নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার ব্রিসবেনের একটি হাসপাতালে ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

তবে নাউরু দ্বীপের প্রশাসন জানিয়েছে,নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে তিনি আশ্রয়প্রার্থীদের উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী নীতির রাজনৈতিক প্রতিবাদ করেছিলেন।

প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রশাসন আরো জানায়, শরণার্থী কেন্দ্রে অবস্থানরত ইরানি নাগরিক ওমিদ গত মঙ্গলবার নিজের গায়ে আগুন দেন। এর পরপরই তাঁকে আকাশপথে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় চিকিৎসার জন্য। পরে অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগ এক বিবৃতিতে ওই তরুণের স্ত্রী ও স্বজনদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, সাগরপথে আসা শরণার্থীদের অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দেশের শিবিরে রাখে না। বরং মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু এবং পাপুয়া নিউগিনির মানুস দ্বীপের মতো জায়গায় ভাড়া করা শরণার্থী কেন্দ্রে পাঠায়। 

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল নাউরু দ্বীপ পরিদর্শনের সময় ওই তরুণ নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

বিবিসির খবরে জানা গেছে, এমন একসময় নাউরু দ্বীপে এ ঘটনা ঘটেছে, যখন পাপুয়া নিউগিনি ও মানুস দ্বীপে শরণার্থী শিবির বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।