ভুয়া তথ্যে কানাডা গেছে হাজারো মানুষ

Looks like you've blocked notifications!

ভুয়া তথ্য দিয়ে কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এই তথ্য যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে কানাডার সরকার। সম্প্রতি কানাডার অভিবাসন বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সূত্রে এই খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের কাছে অভিবাসন বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণামূলক নাগরিকত্বের আবেদন ঠেকাতে পারছে না কানাডা। এর ফলে অযোগ্য ব্যক্তি যাঁরা এর আগে কানাডার পাসপোর্ট পেয়েছেন, তাও বাতিল করতে পারছে না দেশটি।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালানো এক নিরীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষায় দেখা গেছে, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এক ঠিকানা দিয়ে অন্তত ৫০টি আবেদন করা হয়েছে। কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এঁদের মধ্যে সাতজন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষ কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ৬০ লাখ।

গত নভেম্বরে ২৫ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির নতুন সরকার। ওই সময় কানাডায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তখন দেশটির অডিটর জেনারেল মাইকেল ফার্গুসন বলেছিলেন, অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব (আইআরসি) বিভাগে অনেক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে শুধু যোগ্য ব্যক্তিরাই কানাডার নাগরিকত্ব পাবেন।

কিন্তু গার্ডিয়ানের কাছে সাক্ষাৎকারে অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, ‘নাগরিকত্ব প্রকল্পে আইআরসি যথাযথভাবে প্রতারণা শনাক্ত ও প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে।’ এ ছাড়া কর্মকর্তাদের অদক্ষতাও এ জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, অসম্পূর্ণ তথ্য ও কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই ছাড়া লোকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অন্তত ৭০০ ভুয়া নাগরিকত্বের আবেদনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে ভুয়া তথ্যে নাগরিকত্ব পাওয়ার সংখ্যা আরো কয়েক হাজার হতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।