ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে
ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া মাভেরিক রদ্রিগো দুতের্তে।
গতকাল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানুয়েল মার রোক্সাস পরাজয় মেনে নিলে দুতের্তের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এ ছাড়া নির্বাচন-পরবর্তী প্রাথমিক ফলের সূত্র এবং জরিপগুলোতে এমন আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
পরাজয় মেনে নিয়ে রোক্সাস তাঁর সমর্থকদের বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে মেয়র দুতের্তে ফিলিপাইনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আমরা দুতের্তের চেয়ে ৬১ লাখ ভোটে পিছিয়ে আছি।’ এ ছাড়া রোক্সাস দুতের্তের সফলতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে, নির্বাচনে জয়ের পর ৭১ বছর বয়সী রদ্রিগো দুতের্তে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জনগণের এই সমর্থনকে তিনি ‘বিনয়ের’ সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। তিনি আগামী ছয় বছরে সব ভালো কাজের জন্য জনগণের সমর্থন এবং খারাপ কাজের জন্য সমালোচনা আশা করেন।
এর আগে আজ সকালে বিবিসির খবরে সর্বশেষ প্রকাশিত ফলাফলের কথা উল্লেখ করে নির্বাচনী সমাবেশগুলোতে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া রদ্রিগো দুতের্তের বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকার কথা জানানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাভাওয়ের মেয়র ছিলেন রদ্রিগো দুতের্তে। দুঃশাসনের জন্য কুখ্যাত এ শহরটিকে তিনি দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেন। নির্বাচনী প্রচারে এ বিষয় সামনে আনেন তিনি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট বেনিনগো অ্যাকুইনোর সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দারিদ্র্য ও অসাম্য বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন রদ্রিগো। এ ধরনের প্রচার ভোটে কাজে দিয়েছে।
এ ছাড়া টানা ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিনগো অ্যাকুইনো।
ফিলিপাইনের ভোট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ‘পারিশ পেস্টোরাল কাউন্সিল ফর রেসপনসিবল ভোটিং’ জানায়, দুতের্তে এক কোটি ৪৮ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন, যা মোট ভোটের ৩৯ শতাংশ। পক্ষান্তরে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানুয়েল রোক্সাস পেয়েছেন ৯০ লাখ ভোট (মোট ভোটের ২৩ শতাংশ)।
ফিলিপাইনের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ কোটি ৪০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের ৮১ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও স্থানীয় সরকারের ১৮ হাজার প্রতিনিধি বাছাই করা হবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দেশটির মধ্যাঞ্চলে কয়েকটি সহিংসতায় ১৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।