ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার নিহত

Looks like you've blocked notifications!
সিরিয়ায় ইসরায়েলের অভিযানে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার বদরেদ্দিন। ছবি : রয়টার্স

সিরিয়ায় ইসরায়েলি অভিযানে লেবাননভিত্তিক শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি দামেস্কের বিমানবন্দরের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলায় মুস্তফা আমিনি বদরেদ্দিন নামের এই কমান্ডার নিহত হন।

বিবিসি জানায়, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ কমান্ডার বদরেদ্দিন নিহতের কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি। তবে লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি ইসরায়েলি হামলার স্থান ও ধরনের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সরকার থেকে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে লেবাননের প্রেসিডেন্ট রফিক হারিরিকে হত্যার ঘটনায় বদরেদ্দিনসহ চার হিজবুল্লাহ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। বদরেদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ১৯৮২ সাল থেকে সংগঠনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে তিনি অংশ নেন।

১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া মুস্তফা আমিনি বদরেদ্দিন হিজবুল্লাহর শুরু কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া সংগঠনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও বেশ প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার প্রধান ইমাদ মুঘনিয়েহের চাচাতো ভাই। তাঁর বোনকেই বিয়ে করেছিলেন বদরেদ্দিন। ২০০৮ সালে সিরিয়ার দামেস্কে এক গাড়িবোমা হামলায় হমাদ মুঘনিয়েহ নিহত হন।

১৯৮৩ সালে বৈরুতে মার্কিন-মেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে হামলা চালান মুঘনিয়েহ ও বদরেদ্দিন। ওই ঘটনায় ২৪১ জন নিহত হন। মার্কিন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও ছিলেন বদরেদ্দিন।

বিবিসি জানায়, হিজবুল্লাহর অর্থ হলো সৃষ্টিকর্তার দল। এটি শিয়া রাজনৈতিক, সামরিক ও সামাজিক সংগঠন। সশস্ত্র সংগঠনটি লেবাননে বেশ শক্তিশালী। ১৯৮০ সালে লেবাননের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসন হলে ইরানের সহায়তায় হিজবুল্লাহর সৃষ্টি হয়। তবে এর শিকড় গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের শিয়া ইসলামিক বিপ্লব।