ভূমিকম্পের পর পাপুয়া নিউগিনিতে সুনামি সতর্কতা

Looks like you've blocked notifications!

পাপুয়া নিউগিনিতে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার কোকোপো শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে ও ৩৩ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থলের কাছে বিপজ্জনক সুনামির ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। তবে ভূমিকম্পের পর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে আউটলুক ইন্ডিয়া জানায়, ‘সব তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, কিছু কিছু উপকূলে বিপজ্জনক সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।’ পাপুয়া নিউগিনিতেই সুনামি সীমাবদ্ধ থাকবে, এর উচ্চতা হতে পারে এক থেকে তিন মিটার।

প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যান্য অঞ্চলে, যেমন—অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, নিউ ক্যালেদোনিয়া, মার্শাল আইল্যান্ডস, ফিজি, সামোয়া ও ভানুয়াতুতে তুলনামূলক ছোট ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থার কর্মকর্তা জোনাথান ব্যাথগেট জানান, স্থানীয় সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তা ছোট পরিসরে হতে পারে। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা (ভূমিকম্প) বেশ বিস্তৃত পরিসরে সংঘটিত হয়েছে, প্রায় ১০০ কিলোমিটারজুড়ে। এটা সম্ভবত ধ্বংসাত্মক হবে না, যদিও ভূকম্পন বেশ জোরে অনুভূত হয়েছে।’

কোকোপোর সিভিউ বিচ রিসোর্টের গৃহকর্মী লিওনি ফাকাল এএফপিকে বলেন, ভূমিকম্পের পর সব স্টাফ ও দুই অতিথি বাইরে বেরিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘সবাই কিছুটা ভয় পেয়েছিল। বেশ ঝাঁকুনি হচ্ছিল ও জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছিল।’

পাপুয়া নিউগিনি প্রদেশ ইস্ট নিউ ব্রিটেনের রাজধানী কোকোপো শহরের জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ১৯৯৪ সালে পার্শ্ববর্তী শহর রাবাউলে আগ্নেয়গিরি উদগিরণের পর থেকে এটা জেগে ওঠে।