ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো ও তাঁর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রবল হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে এসব বিক্ষোভ হচ্ছে।

স্থানীয় সময় বুধবার দেশটিতে ২০টির মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। এর মধ্যে রাজধানী কারাকাসে হাজারো লোকজন সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে দাঙ্গা পুলিশ।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে ৬০ দিনের জন্য ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে ভেনেজুয়েলাকে রক্ষা করাই এ জরুরি অবস্থা জারির কারণ বলে মন্তব্য করেছেন মাদুরো। এর মধ্যেও বুধবার হাজার হাজার মানুষ সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কারাকাসে বিরোধীদলীয় নেতা এনরিক ক্যাপ্রিলসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিলের (এনইসি) দিকে যায়। তবে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছুড়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এনরিকের সমর্থকদের দাবি, মাদুরোর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে ১৮ লাখ মানুষ গণভোটের পক্ষে সমর্থন করেছেন। তাই চলতি বছরেই গণভোট হওয়া উচিত। বিপরীতে মাদুরোর ভাষ্য, গণভোট  ‘স্থায়ী’ কোনো সমাধান নয়। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিতে ‘ফ্যাসিবাদী’ ডানপন্থীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।

আর ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারিসতোবুলো ইস্তুরিজ গণভোটকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের উচিত ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের দিকে চোখ রাখা।

‘আপনারা জিতলে মাদুরো ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। খুব সহজ। এতে সমস্যা কী?’, বলেন ইস্তুরিজ।