কাজ না করায় অফিসে এ কেমন শাস্তি!

Looks like you've blocked notifications!
কর্মীদের পিটুনি দিচ্ছেন বস। ছবি : ডেইলি মেইল

কাজে ফাঁকি দিলে অধঃস্তনদের কমবেশি ধমক দিয়ে থাকেন সব অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই। কেউ কেউ আবার টুকটাক শাস্তিও দেন। কিন্তু কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনা বসদের জুড়ি মেলা ভার। ঠিকমতো কাজ না করায় কর্মীদের প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটালেন এক চীনা বস। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সাংহাই নগরীতে। 

সাংহাই টাইমসের খবর অনুযায়ী ডেইলি মেইল জানায়, কঠোর পরিশ্রম না করার কারণে ওই কর্মীদের পেটানো হয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বস।

পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। যাতে দেখা গেছে, একটি মঞ্চে প্রথমে সারি বেঁধে আট কর্মীকে দাঁড় করানো হয়। এর মধ্যে তিনজন নারীকর্মীও ছিলেন। এরপর একজন ব্যক্তি বড় একটি লাঠি দিয়ে ওই আটজনের নিতম্বে আঘাত করতে শুরু করেন। 

ফুটেজে দেখা গেছে, লাইনের শেষ দিকে দাঁড়ানো এক নারীকর্মী প্রথম আঘাতের পরই ব্যথা পেয়ে দূরে সরে যান। ওই নারীর নিতম্বে আবারও আঘাত করে নতুন ধাপের ‘শাস্তি দেওয়া’ শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এভাবে পর্যায়ক্রমে চারবার করে ওই আটজনের নিতম্বে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।

পুরো ঘটনাটি ঘটনার সময়ে ওই স্টেজের সামনে আরো একাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এবং তাঁদের কাউকেই এই ঘটনার কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। অবশ্য ভিডিওটি দেখে এটা বোঝা গেছে, ওই কর্মীদের কেউই মোবাইল ফোনে এই ভিডিওটি ধারণ করেছেন।

এর আগেও চীনে কর্মচারীদের নিলডাউন আর হামাগুড়ি দেওয়ানোর মতো শাস্তির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর দেশটির জেনজৌ শহরের এক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাঁদের জন্য বেঁধে দেওয়া পণ্য বিক্রির মাসিক লক্ষ্য পূরণ করতে না পারায় তাঁদের ওই বিশাল এলাকাজুড়ে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছিল চীনের জাতীয় দিবসের ছুটি চলাকালে। তখন সপ্তাহ ধরে ‍ছুটি থাকায় সেখানকার লোকজন সব বেড়াতে চলে যায়। তো বেচাকিনি হবে কোত্থেকে! কিন্তু এই বিবেচনাবোধ মাথায় ছিল না ওই কোম্পানির কর্তাব্যক্তিদের। পণ্য বিক্রির টার্গেট পূরণ করতে না পারায় কর্মচারীদের জেনজৌ শহরের রুয়ি হ্রদের আশপাশের ২৩ একর দীর্ঘ এলাকাজুড়ে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করেছিলেন। হামাগুড়ি দিতে দিতে অনেকের শার্ট এবং ট্রউজার ছিঁড়ে গিয়েছিল।

চীনা টুইটার ওইবোতে এসব ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর গোটা চীনজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ব্যবহারকারীরা নানা মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। ‘এমএমএম’ নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, ‘অনেক দিন আগে আমি এ রকম এক প্রতিষ্ঠানে  চাকরি করতাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি। এসব বস হচ্ছেন মানসিক রোগী। এঁদের অধীনে কাজ করা যায় না।’