ওবামা-কাস্ত্রো বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার সম্পর্কের নতুন যুগ

Looks like you've blocked notifications!
সামিট অব দি অ্যামেরিকানসে অংশ নিতে পানামায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : এএফপি।

বারাক ওবামা ও রাউল কাস্ত্রোর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা হলো। বৈরিতার অবসানে আরেক ধাপ এগোলো যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা। 

পানামার রাজধানী পানামা সিটিতে স্থানীয় সময় শনিবার বারাক ওবামা ও রাউল কাস্ত্রোর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটিই তাঁদের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দীর্ঘ ৫০ বছর পর এই প্রথম দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এমন বৈঠক হলো। ‘সামিট অব দি আমেরিকান’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বরা বর্তমানে পানামায় অবস্থান করছেন। 

পানামা সিটির সম্মেলনস্থলের একটি ছোট সম্মেলন কক্ষে ওবামা ও কাস্ত্রোর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব পাশাপাশি বসে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার কারণেই এই বৈঠক সম্ভব হলো।  

বৈঠকে বারাক ওবামার বলেন, নতুন কোনোকিছু করার এখনই সময়। কিউবার সরকার ও মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় হয়েছে। ওবামা আরো বলেন, ‘উভয় দেশই বুঝতে পেরেছে যে, একটি বিশ্বাস নিয়ে যথাযথ সম্মান ও শিষ্টাচার নিয়ে আমাদের মতপার্থক্য থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৈরিতা পেরিয়ে এসেছি এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। 

ওবামার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধ ছিল। কাস্ত্রো জানান, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সব বিষয় নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আলোচনার কিছু বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে আবার কিছু দ্বিমত থাকতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে এর আগে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। ওই সময় কিউবার ক্ষমতায় থাকা ফুলজেনসিও বাতিস্তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনআওয়ারের বৈঠক হয়। পরে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শীতল হয়ে ওঠে। এমনকি কিউবার সরকার উৎখাতের চেষ্টাও করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত বছরের শেষদিকে বন্দিবিনিময় দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের বরফে ভাঙন শুরু হয়।