নাক ডাকলে স্মৃতিশক্তি কমে!
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা ব্যক্তিরা স্মৃতিশক্তি হারাতে পারেন। চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল নিউরোলজির (স্নায়ুবিদ্যা) এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গবেষণায় ৫৫ বছরের বেশি বয়সী দুই হাজার ৪০০ লোকের চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এ থেকে জানা গেছে, যাঁদের ঘুম ভালো হয়, তাঁদের থেকে ঘুমে নাক ডাকা ব্যক্তিদের দ্রুত স্মৃতিশক্তি কিংবা চিন্তাক্ষমতা লোপ পেয়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার হতে আরো গবেষণা চলছে। কম ঘুম অসুস্থতার জন্য দায়ী বলেও গবেষণা থেকে জানা গেছে।
বড় পরিসরে আলঝেইমার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিশেষত সেসব ব্যক্তির ওপর নজর দিচ্ছেন, যাঁরা নাক ডাকা সমস্যায় ভুগছেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, গলার আশপাশের টিস্যুগুলো শিথিল হয়ে যায় এবং এগুলো বায়ু চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ ধরনের রোগীরা জোরে শব্দ করেন এবং প্রায়ই রাতে ঘুম থেকে উঠে যান।
গবেষকদের উদ্বেগ, এ ধরনের সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকা ৭০ বা তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ বছর আগে স্মৃতি বা চিন্তাশক্তি লোপ পায়।
গবেষণাপত্র সম্বন্ধে আলঝেইমার’স রিসার্চ ইউকে নামে একটি সংগঠনের গবেষক ড. সিমন রিডলে বলেন, ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি কমাতে পারে বলে নমুনা পাওয়া গেছে। তবে এর দ্বারা এটা বোঝাচ্ছে না যে, একটার কারণে আরেকটা হচ্ছে। তিনি বলেন, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সরবরাহ দরকার। আগ্রহ উদ্দীপক ব্যাপার হলো, নাক ডাকার চিকিৎসা শেষ বয়সে স্মৃতি ও চিন্তা লোপের প্রবণতার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আলঝেইমার’স সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের গবেষক ড. ডগ ব্রাউন যোগ করেন, ‘এর আগে করা কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ঘুমের পরিমাণ ও মানের একটা প্রভাব আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু বয়োবৃদ্ধদের সাধারণ সমস্যা ঘুমের ব্যাঘাত, তাই এ নিয়ে আরো গবেষণা দরকার।’