মাঝসমুদ্রে হঠাৎ ‘এলিয়েন শিপ’, তারপর…

Looks like you've blocked notifications!
সাগরে ভাসমান মৃত তিমির পাকস্থলী। ছবি : দি ইনডিপেনডেন্ট

মাঝসমুদ্রে হঠাৎই অদ্ভুতদর্শন এক বস্তু দেখতে পেয়ে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মৎস্যজীবী মার্ক ওয়াটকিনস। প্রথম দেখায় তাঁর মনে হয়, তবে বুঝি ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের মতবাদটি সত্য! মাঝসমুদ্রে এসে নেমেছেন ভিনগ্রহের প্রাণীরা, আর এটা তাদের পরিভ্রমণের যান বা এলিয়েন শিপ! হয়তো বা কোনো বিশালকায় এলিয়েন!

গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থের সৈকত থেকে প্রায় ২৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে নির্জন সমুদ্রের মাঝে ভাসতে ভাসতে এমনটা ভাবতে ভাবতে পেরিয়ে যায় দীর্ঘসময়। ছোট্ট নৌকাটিতে তখন কেবল মার্ক আর তাঁর বৃদ্ধ বাবা ছিলেন। তবু মৎস্যজীবী মার্ক সাহস করতে পারছিলেন না অদ্ভুতদর্শন এই বস্তুটির কাছে যাওয়ার। একসময় কৌতূহলের কাছে হার মানে ভয়। আর দূর থেকে দেখে বস্তুটিকে নিরাপদও মনে হচ্ছিল তাঁর কাছে, একেবারে ‘নট নড়নচড়ন’।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মার্ক জানান, যখন এই অদ্ভুত বস্তটি একেবারেই নড়ছিল না, তখন মনে হয়েছে এটি কোনো বিশালকায় বেলুন অথবা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার কোনো যন্ত্রাংশ। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখেন এ যে একটি তিমি মাছের মৃতদেহ।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট-এর সঙ্গে আলাপকালে মার্ক জানান, বিশালকায় একটি মুর তিমির মৃতদেহ ভেসে ছিল সাগরে। আর তিমিটির মৃতদেহে দাঁত বসিয়েছে হাঙ্গরেরা। এতে তিমিটির পেট ফুটো হয়ে পাকস্থলীর একটি অংশ বের হয়ে গেছে। আর গ্যাস জমা ওই পাকস্থলীর আকার বেড়ে বিশাল এক আকার ধারণ করে ভেসে ছিল সাগরে।

মার্ক আরো বলেন, ‘পানিতে আধা ভাসমান অবস্থায় থাকা মৃতদেহ দেখার আগে আমাদের কাছে একবারও মনে হয়নি এটি তিমি হতে পারে। যদিও মৃতদেহের পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ। কিন্তু পাকস্থলীটি এমন অবস্থায় ভেসে ছিল যে আপনি বস্তুটিকে একটি এলিয়ন শিপ মনে করতেই পারেন।’