তুরস্কে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১২

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এলজিগ শহরে বোমা হামলায় পুলিশের একটি ভবন এবং এর কাছে থাকা কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তিনটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১৯ জন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এসব হামলা হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, তুরস্কের ভ্যান প্রদেশের ভ্যান শহর এবং এলজিগ প্রদেশের এলজিগ শহরে বোমা হামলায় চার পুলিশ ও দুই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আর বিতলিস শহরে সেনাদের বহনকারী যান লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় পাঁচ সেনা ও এক গ্রামরক্ষী নিহত হয়েছেন।

তুরস্কের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যায়, বোমা হামলায় এলজিগ শহরে পুলিশের ধ্বংস হওয়া ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছে। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে ভবনের কাছাকাছি থাকা কয়েকটি গাড়ি, সমূলে উৎপাটিত হয়েছে কয়েকটি গাছ।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ভ্যান শহরের একটি হলের কাছে বোমা বিস্ফোরিত হয়। সেখানে একটি বিয়ের শোভাযাত্রা চলছিল। বিস্ফোরণের আওয়াজে সন্ত্রস্ত অতিথিরা পালিয়ে যায়।

বিতলিস শহরে বোমা হামলার ঘটনার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

বোমা হামলার জন্য কুর্দি সংগঠন পিকেকেকে দায়ী করেছেন তুরস্কের কর্মকর্তারা।

হামলার ঘটনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের যুদ্ধ কখনো বন্ধ হবে না।

সরকারের সঙ্গে পিকেকের অস্ত্রবিরতি ভাঙার এক বছর পর এই হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগে পিকেকের কমান্ডার সেমিল বায়াক তুরস্কের শহরে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

গত সপ্তাহে তুরস্কে পুলিশের যানের ওপর দুটি হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।

তুরস্কে গত মাসের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হলেও কুর্দিদের রাজনৈতিক দল এইচডিপিকে এর বাইরে রাখা হচ্ছে। তারাও পিকেকের সমর্থক বলে দাবি করেন তুরস্কের কর্মকর্তারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে পিকেকের ১৮০ যোদ্ধাকে হত্যা ও তিন হাজার যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে।