নেপালে ভূমিকম্প

নিহতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল, কাঠমান্ডু ছাড়ছে মানুষ

Looks like you've blocked notifications!
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালের বাইরে কয়েকটি মৃতদেহের পাশে শনাক্তকরণ নম্বর। ছবিটি স্থানীয় সময় ২৬ এপ্রিল-২০১৫, রোববার তোলা। ছবি : রয়টার্স
 

নেপালে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
urgentPhoto
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৮১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ভূমিকম্পের দুই দিন পর আজ সোমবার লাখ লাখ নেপালিকে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে তাঁবুর নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাঁদের কাছে নেই প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী। ত্রাণসামগ্রীও তাঁদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। দুর্ঘটনায় আহত ও গৃহহীন বিপুল মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয়র অভাবে অনেক মানুষ রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন। রাজধানীর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে তা দুর্গতদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ, ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ত্রাণ পৌঁছেছে।

বিধ্বস্ত নগরী কাঠমান্ডুর হাসপাতালগুলোতে জায়গা হয়নি দুর্ঘটনায় আহত ও অসুস্থ অনেক মানুষের।  বাধ্য হয়ে এসব মানুষ শুয়ে আছে খোলা আকাশের নিচে।

বিপুল মানুষের চাপ সামলাতে না পেরে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের মাঠেই তাঁবু টানিয়ে করা হয়েছে অস্ত্রোপচারের কক্ষ। সেখানেই চলছে অসুস্থ ব্যক্তিদের অস্ত্রোপচার।

নেপালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য দীপক পান্ডা বলেন, ‘সারা দেশ থেকে আসা উদ্ধার ও সহায়তার আবেদনে সাড়া দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’

ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতে সারিবদ্ধভাবে বহু মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিছু দোকান খোলা আছে। তবে এসব দোকানে কোনো মালামাল নেই বললেই চলে।

ঘটনার দিন থেকে হিমালয়ের অনেক উঁচুতে বিদেশি ও নেপালি পর্বতারোহী আটকা পড়েছেন। এরই মধ্যে তুষারধসে মারা গেছেন ১৮ পর্বতারোহী।