ইরাকি কিশোর হত্যায় ব্রিটিশ সেনাদের নিন্দা
ইরাকি এক কিশোরকে খালের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় চার ব্রিটিশ সেনার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত। ব্রিটিশ সেনাদের মাধ্যমে ইরাকে বেসামরিক ব্যক্তি হত্যার ঘটনায় করা একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বিচারক এ নিন্দা জানান।
২০০৩ সালে ইরাকে লুটপাটে যুক্ত থাকার সন্দেহে আহমেদ জব্বার করিম আলি নামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে ব্রিটিশ সেনারা আটক করে। পরে চার ব্রিটিশ সেনা কিশোরটিকে একটি খালে নামিয়ে দেয়। খালের পানিতে সে ডুবে মারা গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ওই সেনারা।
এ ঘটনায় ‘ইরাকে হত্যার তদন্ত’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিটেনের হাইকোর্টের সাবেক বিচারক স্যার জর্জ নিউম্যান। তদন্ত প্রতিবেদনে আহমেদকে খালে নামানো এবং ডুবে যাওয়ার সময় উদ্ধার না করার নিন্দা জানানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আহমেদকে আটক করাই ঠিক হয়নি। তাকে খালে নামিয়ে দেওয়াও উচিত হয়নি এবং খালে হাবুডুবু খাওয়ার সময় তাকে উদ্ধার করা প্রয়োজন ছিল। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
২০০৩ সালে ইরাকে লুটপাটের অভিযোগে আহমেদসহ চারজনকে সামরিক যানে করে শাত-আল বাসরা খালের কাছে নেওয়া হয়। পরে তাদের ওই খালে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আহমেদের জীবন রক্ষা করতে না পারা ‘স্পষ্টতই ব্যর্থতা’। সেনাদের মাধ্যমে জোর করে খালে নামানো এবং সেনাদের উপস্থিতিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। সেনারা তাকে হাবুডুবু খেতে এবং পানিতে ডুবে যেতে দেখেছে। তার হাবুডুবু খাওয়া দেখেই উদ্ধার করা উচিত ছিল।
২০০৬ সালে সামরিক আদালতের এক বিচারে ওই চার ব্রিটিশ সেনাকে মানুষ হত্যার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।