ব্যারেল বোমা হামলায় আলেপ্পোর হাসপাতাল বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালের একটি অংশ। ছবি : রয়টার্স

রাশিয়া ও সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় আলেপ্পো শহরে একটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।

সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি নামে একটি দাতব্য সংগঠন জানিয়েছে, হাসপাতালটির ওপর ব্যারেল বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

আলেপ্পোর ঐতিহাসিক ওল্ড সিটিতেও সিরিয়ার সরকারি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলে খবর রয়েছে। সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ চলছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর আংশিক অস্ত্রবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহরে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমান বাহিনী।

হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়া বিদ্রোহীদের জিহাদি হতে বাধ্য করছে।

সিরিয়ার একসময়ের বাণিজ্যিক ও শিল্পের কেন্দ্র আলেপ্পো ২০১২ সাল থেকে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়া ও সিরিয়ার বোমা হামলায় অনেক শিশুসহ অন্তত ৪০০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।

শনিবার বিমান হামলায় আলেপ্পোর সর্ববৃহৎ এম-১০ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে কয়েক দিনের ব্যবধানে সেখানে তিনবার হামলা হলো।

হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট মোহাম্মদ আবু রাজাব বলেন, ‘হাসপাতালটি এখন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেয়াল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, জেনারেটর সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন সেখানে কোনো পাহারাদার ও স্টাফ নেই। এখন পুরোপুরি অন্ধকার।’

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ড. আবু রাজান বলেন, হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোমা হামলার পর হাসপাতালের ১০ জন লোক হামলায় আহত হয়েছেন।

সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি জানায়, হামলায় দুজন রোগী নিহত হয়েছেন। অন্যদের বিকল্প জায়গায় নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এক মুখপাত্র হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে।