চণ্ডীপাঠ করে বাড়িতে দুর্গাপূজার আবাহন প্রণবের

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিরিটি গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি : এনটিভি

ভারতের নয়াদিল্লির রাইসিনা হিল থেকে শুধু দুর্গাপূজার টানে নিজের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কীর্ণাহারের মিরিটি গ্রামে চলে এলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

প্রাচীন পারিবারিক পূজায় যোগ দিতেই গ্রামের বাড়িতে আসেন প্রণব। প্রতিবছরই পারিবারিক পূজায় বাড়ি আসেন তিনি। এই সময় আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই সবার সঙ্গে সময় কাটান। স্বজন, পরিজনের সঙ্গে পূজায় যোগ দেওয়া, খাওয়া-দাওয়া, গল্প, আড্ডা কিছুই বাদ যায় না।

শুক্রবার দিল্লি থেকে সোজা গ্রামের বাড়িতে ফেরেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। নিজে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে আবাহন করেন দেবী দুর্গার। তারপর হিন্দু রীতি অনুযায়ী, পূজার অঙ্গ হিসেবে কলাবউ স্নান থেকে শুরু করে পূজার যাবতীয় আচারে অংশ নেন তিনি।

প্রণবের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, এ বছর ৪৮ বছরে পা দিল তাদের পারিবারিক এই পূজা। পূর্বপুরুষের আমল থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে মুখোপাধ্যায় বাড়ির এই পূজা। এই পূজার দুটো বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলেও জানান তিনি, যার মধ্যে একটি হলো পরিবারে একজন চণ্ডীপাঠ করে দেবীর আবাহন করেন। যেটা বেশ কয়েক বছর ধরে প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজেই করে আসছেন। আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো দুর্গাপূজার সময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মুখোপাধ্যায় বাড়ির এই পূজায় অংশ নিতে পারেন। শুধু অংশ নেওয়াই নয়, এই বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার না খাইয়ে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না, যার ব্যতিক্রম ঘটছে না এ বছরেও।

তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি স্বয়ং উপস্থিত থাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেউ পূজা দেখতে এসে যাতে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে না যান, তার জন্য মুখোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে সব সময়ই নজর রাখা হচ্ছে।

অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পূজার আনন্দ যাতে কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ না হয়, সে বিষয়ে আমরা সবাই সচেষ্ট।’

টানা চার দিন পূজায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর ফের নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলে ফিরে যাওয়ার কথা ভারতের রাষ্ট্রপতির।