‘একটি দেশে’র বিরুদ্ধে মোদির অভিযোগের পাহাড়

Looks like you've blocked notifications!
ব্রিকসের পাঁচ নেতা। বাঁ থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল টেমের, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। ছবি : রয়টার্স

ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের দিকে নিশানা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই সন্ত্রাসের ‘মাদার শিপ’ বা মূল চক্রী হিসেবে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুললেও দেশটির নাম মুখে আনেননি তিনি।

ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত ব্রিকসের সম্মেলন। ভারত ছাড়া সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্য চারটি দেশ হচ্ছে রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রই সন্ত্রাসের পথপ্রদর্শক। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শুধু সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয় না, সন্ত্রাসের জন্মও দেয়।’ মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসের ক্রমবর্ধমান থাবা আজ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের পক্ষে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদ আজ শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসের সেই পায়ের ছাপ একটু একটু করে গ্রাস করছে ভারতের নিরাপত্তা। এমনকি উন্নতির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। সন্ত্রাস আমাদের দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার কবর খুঁড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘তবে দুঃখের বিষয় এই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এমন একটি দেশ যে ভারতের প্রতিবেশী। গোটা বিশ্বের সন্ত্রাস এই দেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।’

গোয়ার ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসের সেই অশনিসংকেতের কথা শুনিয়ে মোদি ব্রিকস দেশগুলোকে একজোট হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান।

মোদি ব্রিকসের এই মঞ্চ থেকে আরো বলেন, ‘ভারত বিশ্বাস করে সন্ত্রাসবাদ ও তার সমর্থকদের শাস্তি দিতে হবে। পুরস্কার নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। সন্ত্রাসী মানসিকতার তীব্র নিন্দা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলো সন্ত্রাসের কারণে নাজেহাল। প্রতিটি হামলার সঙ্গেই ভারতের ওই প্রতিবেশী দেশের যোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে ভারতেরই ওই প্রতিবেশী দেশ। এমনকি হামলা চালাতেও মদদ দিচ্ছে।’ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বে শান্তির আবহ তৈরি করার ডাক দেন তিনি।