পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজি কারখানায় আগুন, শিশু শ্রমিক নিহত

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ১৫ বছর বয়সি এক শিশু শ্রমিক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলা সদর বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু শ্রমিকের নাম রাহুল দাস।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় আতশবাজি কারখানাটিতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে শিশু শ্রমিকও ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় আটকে পড়ে নিহত হয় রাহুল দাস। রাহুল স্থানীয় নীলগঞ্জ শিক্ষায়তনের নবম শ্রেণীর ছাত্র। এ কারখানায় কাজ করে প্রতিদিন রাহুল ২০০ টাকা আয় করত।  

সকাল ১০টার দিকে আতশবাজি তৈরির বারুদে আগুন ধরে ঘটে অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডের পরই ক্রমাগত বিকট শব্দে আতশবাজির বস্তায় বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বারাসাতের পুলিশ কর্মকর্তা গণেশ বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক জুলফিকার আলী মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।

দীপাবলী ও কালীপুজা উপলক্ষে নানা রকম আতশবাজির চাহিদা এখন তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নানা ধরনের বাজি এই মৌসুমে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, চোরাইপথে বাংলাদেশেও পাচার হয়। ফলে এই মৌসুমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় চলে দেদার বাজি তৈরির কারবার। বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায় বরাবরই বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত। চকোলেট বোম, কালীপটকা, দোদমা, চরকা, রকেটসহ বিভিন্ন ধরনের বাজি তৈরি হতো এখানে। কালীপূজা ও দীপাবলীর মৌসুমে এই এলাকায় আতশবাজি বানানো রীতিমতো কুটির শিল্পের আকার নেয়।