মানব পাচার চক্রের থাই হোতা গ্রেপ্তার
মানব পাচারকারী চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে থাইল্যান্ডের পুলিশ। গতকাল সোমবার থাইল্যান্ডের সাতুন প্রদেশ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থাইল্যান্ডের পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তি সাতুন প্রদেশের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর নাম পাটচুবান অ্যাংচুতিপান। অত্যন্ত প্রভাবশালী এ ব্যক্তি কোর টোঙ ছদ্মনামে মানব পাচার চক্রকে গত পাঁচ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে থাই পুলিশপ্রধান জেনারেল সময়ত পুমপ্যানমুয়াঙ বলেন, সাতুন প্রদেশে কোর টোঙ অত্যন্ত ক্ষমতাবান। তিনি সবার প্রধান। সেখানে তাঁর অনেক সহযোগী রয়েছে।urgentPhoto
কোর টোঙকে নিয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত ৩১ জনকে আটক করা হলো। পাচারের সঙ্গে জড়িত আরো ৩৫ ব্যক্তি পলাতক রয়েছে বলে জানায় থাইল্যান্ডের পুলিশ।
এদিকে, সংখ্যালঘুদের বিতারণে মিয়ানমারের সমালোচনা হলেও এসব মানছে না মিয়ানমার। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, মানব পাচারের দায় প্রতিবেশীদেরও রয়েছে।
এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র ইয়ে এইচটুট বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা সস্তায় শ্রমিক চান, যাদেরকে দাস বানিয়ে রাখা যায়, যাদেরকে নীরবে হত্যা করা যাবে।’
আর থাইল্যান্ডে যখন অভিবাসীবিরোধী চেতনা তুঙ্গে, তখন ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
থাইল্যান্ডে সামাজিক গণমাধ্যমে অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য এত বেশি চালাচালি হচ্ছে যে, অভিবাসীদের সহায়তায় সরকার খানিকটা সংশয়ে পড়েছে। তবে সুসংবাদ আসছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের লাংসা থেকে। সেখানে অভিবাসীদের জন্য খাবার, কাপড়চোপড় আর চিকিৎসার সহায়তা নিয়ে এসেছে স্থানীয়রা। অভিবাসীদের জন্য বানানো হচ্ছে ঘর। তাদের সহায়তা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছেন সেখানকার অধিবাসীরা।
আচেহ প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবক জুলিয়ান ফাহমি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মুসলিম ভাইবোনদের জন্য এসব সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসী।
স্বেচ্ছাসেবার এ দৃষ্টান্তে অভিভূত লাংসায় অবস্থিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারাও।