ঝড়ের পর জনে জনে হাঁপানি, ছয়জনের মৃত্যু
অসুস্থতার নাম থান্ডারস্ট্রোম অ্যাজমা (বজ্রঝড় হাঁপানি)। অদ্ভুত এই অসুস্থতায় অস্ট্রেলিয়ায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে অনেকে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চহারে পরাগরেণু থাকা স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চলে কিছু সময় ধরে বজ্রসহ ঝড় হলে পরাগরেণু ভেঙে ছোট হয়ে যায় এবং এই ক্ষুদ্র গুড়া পরাগরেণু মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করলে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমন অসুস্থতাই হলো থান্ডারস্ট্রোম অ্যাজমা।
থান্ডারস্ট্রোম অ্যাজমার কারণে গত সপ্তাহের সোমবার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন এবং ভিক্টোরিয়া অঞ্চলের কিছু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা বিভাগ জানিয়েছে, এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনো থান্ডারস্ট্রোম অ্যাজমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ১২ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, অসুস্থত হওয়া ব্যক্তিদের ৭৪ শতাংশ জানিয়েছে গত সপ্তাহের ঝড়ের সময় তাঁদের অসুস্থতা দেখা দেয়।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের প্রাইমারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক আজিজ শেখ বলেন, বিভিন্ন কারণে থান্ডারস্ট্রোম অ্যাজমা হতে পারে। এর আগে ২০১০ সালে ইতালিতে জলপাইয়ের পরাগরেণুর কারণে এমন শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা দেখা যায়।