মেক্সিকোতে সন্ত্রাসী-পুলিশের গোলাগুলি, নিহত ৪৫

Looks like you've blocked notifications!

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও মাদক পাচারকারী গ্যাংয়ের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশসহ অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিক পেন নিয়েতো এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর আমলে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই লড়াইয়ে দুই ফেডারেল পুলিশ নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি জানায়, শুক্রবার রাতে জেলিসকো রাজ্যের সীমান্ত এলাকার মিচোয়াকান শহরে সৈন্যরা মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরেই মাদক পাচারকারীদের শক্তিশালী ঘাঁটি ও সংঘাতপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। নিহতদের অধিকাংশই অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনার মন্টে আলেজান্দ্রো রুবিদো।

ঘটনার পর আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আলেজান্দ্রো রুবিদো জানান, পার্শ্ববর্তী জালিসকো রাজ্যের একটি সন্ত্রাসী চক্র জালিসকো নিউ জেনারেশন (জেএনজি) গ্রুপের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। ঘটনাস্থল থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৩০টি রাইফেলও রয়েছে।

শহরটির মেয়র বলেছেন, শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় পুলিশের বহরটি যখন ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে তখনই তাদের লক্ষ্য করে জেএনজি গ্রুপের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি চালানো শুরু করে। তবে কোন পরিস্থিতিতে এই সহিংসতার সূচনা হয়েছিল, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তদন্তের জন্য ওই অঞ্চলে পৌঁছেছেন।
 
মেক্সিকোর অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে জেলিসকো। সেখানকার জেএনজি মাদকচক্রটি প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই চক্রের হাতে গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত শহরটিতে ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত সপ্তাহে দেশটিতে সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। শহরটিতে আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য মেয়র নির্বাচনে যিনি একজন প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি হেলিকপ্টার অপরাধীরা গুলি করে ভূপাতিত করলে দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্য নিহত হন।
   
এ ছাড়া জেএনজি সদস্যরা জেলিসকো ও গুয়াদালাজারা এলাকার আশপাশে যানবাহন, ব্যাংক এবং পেট্রলপাম্পে নিয়মিত হামলা চালিয়ে শহরটিকে প্রায় অচল করে রেখেছিল।