নেপালে ভূমিকম্প : ধসে নদী বন্ধ, পালাচ্ছে মানুষ

Looks like you've blocked notifications!

নেপালে একের পর এক ভূমিকম্পের পর এবার ভূমিধসের কারণে একটি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে গেছেন। 

রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে উত্তর-পশ্চিমে নেপালের মায়াগদি জেলায় কালী গান্দাকী নদীতে নতুন করে গভীর এবং ক্রমে বেড়ে চলা একটি হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি ও ভূমিধসের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার মানুষের সহায়তায় সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। 

আজ রোববার ভোরে নেপালে প্রচণ্ড ভূমিধসে নদীর পানি ২০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।  

নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মী প্রসাদ ঢাকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভূমিধসের এলাকাগুলো থেকে গ্রামবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, নেপালের সবচেয়ে বড় পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র ওই এলাকায় অবস্থিত, যা ভূমিধসের কারণে হুমকির মুখে।

নেপালের কর্তৃপক্ষ জানায়, সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে পুরো এলাকায় জরিপ চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল হ্রদের কাছেও সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। 

কর্মকর্তারা বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে যেকোনো সময় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কালী গান্দাকী নদী নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করে গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে। 

গত ২৫ এপ্রিল রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধস হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে আট হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। তবে ২৫ এপ্রিলের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নেপালে ছোটখাটো ভূমিকম্প হয়। ১২ মে আবার বড় আকারে নেপালে ভূমিকম্প হয়। এবারের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩।