মিয়ানমারে জঙ্গি উত্থানের পেছনে পাকিস্তান, সৌদি আরব : আইসিজি
মিয়ানমারে জঙ্গি উত্থানের পেছনে পাকিস্তান, সৌদি আরবের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক ও অলাভজনক এ সংগঠনটি এ তথ্য জানিয়েছে। গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারে দুর্বৃত্তদের হামলায় নয়জন পুলিশ নিহত হন। এরপর সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
সংবাদমাধ্যমের হিসাব মতে, সেনাবাহিনীর নির্যাতনে এ পর্যন্ত ৮৬ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২৭ হাজার রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়েছে। এরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের পেছনে সেনাবাহিনী জড়িত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হারাকাহ আল-ইয়াকিন নামের একটি গোষ্ঠী ভিডিওবার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইসিজি বলছে, তারা রাখাইন রাজ্যের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর চার সদস্যকে জিজ্ঞাসা করেছে। এদের দুজনকে মিয়ানমারের বাইরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এদের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
আইসিজি জানায়, ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরপর হারাকাহ আল-ইয়াকিন বা বিশ্বাস আন্দোলন সংগঠনটির আবির্ভাব হয়।
আইসিজি জানায়, হামলার আগে রাখাইন রাজ্যের উত্তরে গ্রামের বাসিন্দাদের রোহিঙ্গাদের গোপন প্রশিক্ষণ দেয় একদল রোহিঙ্গা, যারা পাকিস্তানি ও আফগানদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
ব্রাসেলভিত্তিক সংগঠনটি জানায়, ‘প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে সমরাস্ত্রের ব্যবহার, গেরিলা কৌশল, হারাকাহ আল-ইয়াকিনের সদস্য ও প্রশিক্ষণার্থীদের স্থানীয়ভাবে তৈরি বিস্ফোরক তৈরির কৌশল।’
আইসিজি আল-ইয়াকিনের নেতার পরিচয় জানিয়েছে, যিনি বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তায় এসেছেন। তাঁর নাম আতা উল্লাহ। জন্ম পাকিস্তানে। তাঁর বাবা একজন রোহিঙ্গা অভিবাসী। শৈশবে তাঁর পরিবার সৌদি আরবে পাড়ি জমায়।
আইসিজি আরো জানায়, সৌদি আরব থেকে যে ২০ তরুণ রাখাইন রাজ্যে আল-ইয়াকিনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, আতা উল্লাহ তাঁদের একজন। জঙ্গিগোষ্ঠীটির সদর দপ্তর মক্কায়।