ভারতের মণিপুরে মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হচ্ছে। ছবি : ডয়চে ভেলে

ভারতের মণিপুর রাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৩ জুন) থেকেই অশান্ত মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিমাঞ্চল। রাজধানীর ওই অঞ্চলে মঙ্গলবারের সংঘাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই অঞ্চলেই রাজ্যের একমাত্র নারী মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালাল বিক্ষোভকারীরা। তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রী অবশ্য ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা উচ্চপদস্থ অফিসারদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের ১২ জনের মন্ত্রিসভায় অন্যতম সদস্য কিগপেন। জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন এই কুকি প্রতিনিধি। সংঘাত শুরু হওয়ার পর কিগপেনসহ ১০ জন কুকি জনপ্রতিনিধি পৃথক কুকি প্রশাসনিক কাঠামোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও আরও ছয়জন বিজেপি বিধায়ক এই দাবি জানিয়েছেন।

কিগপেনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মেইতেইরা যুক্ত বলে স্থানীয় সংবাদপত্রের একটি অংশ দাবি করেছে। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ এখনও কিছু জানানো হয়নি। 

ওই অঞ্চলে নতুন করে সংঘাতে ৯ জন নিহত, বহু মানুষ আহত ও ঘরছাড়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনও গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানী ইম্ফলসহ একাধিক জায়গায় কারফিউ চলছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি মণিপুরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। সেনা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের নেতৃত্বে একটি শান্তিরক্ষা কমিটি তৈরি হয়। কিন্তু, মেইতেই ও কুকি দুপক্ষই ওই শান্তিরক্ষা কমিটি মানতে রাজি হয়নি।