৭৭ ইউক্রেনীয় বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে রাশিয়া : জাতিসংঘ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/27/jaatisngh-in.jpg)
১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ সময়ে ইউক্রেনের বহু মানুষকে বন্দি করেছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে ৭৭ বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তারা। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা এখনও চলমান। আগ্রাসনের পর থেকে ৮৬৪ ইউক্রেনীয়কে জোরপূর্বক বন্দি করার নথি রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ দলের হাতে। এর মধ্যে অনেক বন্দি গায়েব হয়ে গেছে।
আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ দলের প্রধান মাতিলদা বগনার বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব নথি রয়েছে সেগুলো অনুযায়ী, ৭৭ ইউক্রেনীয় বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে রাশিয়া। জোর করে তাদের বন্দি করা হয়েছিল।’
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ ও পাঁচ নারী রয়েছে। এ ছাড়া বন্দি অবস্থায় নির্যাতনে আরও দুই পুরুষ বন্দি মারা গেছে। আটক বন্দিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
বগনার বলেন, ‘রুশ সশস্ত্র বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও কারা কর্তৃপক্ষ বেসামরিক বন্দিদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। যেসব বন্দিদের আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি তাদের মধ্যে অধিকাংশই নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণের কথা জানিয়েছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দলের প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সাহায্য করার কথা স্বীকার করতে বন্দিদের বাধ্য করার জন্য নির্যাতন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভয় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে তারা।’
এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য এক হাজার ১৩৬ ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দলটি। এ ছাড়া ২৭৪টি এলাকা ও ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত ৭০টি সাইট পরিদর্শন করেছে তারা।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/06/27/jaatisngh-thaamb.jpg)
তবে, ইউক্রেনীয় বন্দিশালায় কতজনকে আটক ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।