দ. কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিন, উ. কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ
উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাপান সাগরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু-সজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দরে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়ে উত্তর কোরিয়া। খবর আলজাজিরার।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে উৎক্ষেপণ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
উত্তর কোরিয়াকে এই ধরনের উৎক্ষেপণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস)। এক বিবৃতিতে জেসিএস বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে গুরুতর উসকানিমূলক কাজ হিসেবে নিন্দা জানাই, যা কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একইসঙ্গে এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং ৫৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়, দ্বিতীয়টি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠেছিল এবং ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাপান কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর আগে সর্বশেষ প্রায় এক সপ্তাহ আগে হাওয়াসং-১৮ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। ওই সময় পিয়ংইয়ং বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য এটি একটি সতর্কতা।
মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, তারা বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে সচেতন ছিল এবং তার মিত্র ও অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করছে।
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে মনে হয়নি। তবে, ঘটনাগুলো উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়া এক মার্কিন সৈন্য আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যায়। তিনি উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছে ধারণা করে ওয়াশিংটন জানায়, এই ঘটনা দুই শত্রু দেশের মধ্যে নতুন এক সংকট তৈরি করেছে।