ভোটকে সামনে রেখে অস্থির মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এএফপি

আগামী সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, নির্বাচনের দুমাস আগেই দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৪ ‍জুলাই) এক সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হবে না বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিকরা। খবর এএফপির।

মালদ্বীপের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফুয়াদ তৌফিককে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এমনটি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবটি অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তিন লাখ ৮০ হাজার মুসলমানের দেশটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ভারত মহাসাগরের ছো্ট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ দেশটিতে পুনর্নির্বাচনের ডাক দেন।

এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তৌফিককে বরখাস্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দল। কমিশনের নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।  

নতুন দল ডেমোক্র্যাটস তৌফিককে বরখাস্তের জন্য ক্ষমতাসীন এমডিপি পার্টির দিকে তীর ছুড়েছেন। তাদের দাবি, যেসব কমিশনার তৌফিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন তারা ক্ষমতাসীন দল ও প্রেসিডেন্ট সলিহের ঘনিষ্ঠ। এক বিবৃতিতে রাজনৈতিক দলটি বলছে, ‘প্রেসিডেন্ট সলিহের হস্তক্ষেপ এবং সমস্ত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক কারসাজি সব বিরোধী দলের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। নির্বাচনের আগে এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীলতা করে তুলবে।’ নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশন বিলম্ব করছে বলেও বিবৃতিতে জানায় ডেমোক্র্যাটস।

ছবি : এএফপি

মাউমুন আব্দুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের শাসনের পর ২০০৮ সালে মালদ্বীপ বহুদলীয় ব্যবস্থা শুরু হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সলিহের প্রধান প্রতিপক্ষ গাইয়ুমের ভাই সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। গত বছর অর্থপাচার ও ঘুষ গ্রহণের অপরাধে ইয়ামিনকে  ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত।

ইয়ামিন আগামী নির্বাচনে অংশ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তবে, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নিবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে, ৩ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা গ্রহণ করবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।