চীনে অতিবৃষ্টিতে নিহত ২০, নিখোঁজ ১৯
চীনের বেইজিং ও এর আশেপাশের প্রদেশগুলোতে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় নিহত বেড়ে ২০ এ দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৯ জন। ভারী বৃষ্টিপাতে অনেক রাস্তা পানি ও কাদাতে তলিয়ে গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সম্প্রতি ফিলিপাইনে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ডকসুরি। এরপরে গত শুক্রবার ঝড়টি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের দিকে অগ্রসর হয়ে আঘাত হানে। আর শনিবার থেকেই চীনের রাজধানী বেইজিং ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গোটা জুলাইয়ে বেইজিংয়ে যতটুকু গড় বৃষ্টিপাত হয় সর্বশেষ ৪০ ঘণ্টায় রাজধানীতে ততটুকু বৃষ্টিপাত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর আশেপাশের এলাকাগুলোতেও অতিবৃষ্টি হচ্ছে।
অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি মেনটুগু নদীর তীর। এএফপির সাংবাদিকরা রাস্তাজুড়ে কর্দমাক্ত ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘২০১২ সালের জুলাইয়ের বন্যার পর এতো পানি আমি আর দেখিনি।’ ওই বন্যায় ৭৯ জন নিহত ও ১০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওই সময়ের থেকে এখন পানি বেশি।’
হাসপাতালের বাইরে দাদিকে নিয়ে ট্যাক্সির অপেক্ষা করা ২০ বছর বয়সী কিউ বলেন, ‘এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এখানে কারও কোনো কিছু করার নেই। শহর পুনর্গঠনে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’
আজ চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, অতিবৃষ্টিতে শুধুমাত্র বেইজিংয়ে ১১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন উদ্ধারকারী দলের। রাজধানীতে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। আর ১৪ জন নিখোঁজ লোককে উদ্ধার করা গেছে।
বেইজিংয়ের পার্শ্ববর্তী হেবেই প্রদেশে ৯ জন নিহত ও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বের লিয়াওনিং প্রদেশে দুজন নিহত হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সবধরনের প্রচেষ্টা চালানোর কথা আজ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রাজধানীতে ঝুঁকিতে রয়েছে এমন এক লাখ লোককে নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য কর্তৃপক্ষ ১১ কোটি ইউয়ান (চীনের মুদ্রা) বা এক কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।