হাওয়াইয়ে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শত ছুঁইছুঁই
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউইতে দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে প্রায় একশর কাছাকাছি পৌঁছেছে। এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভায়বহ দাবানলে দেশটির স্থানীয় সময় রোববারের (১৩ আগস্ট) মধ্যে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। সমালোচনাকারীদের দাবি, কেন কর্তৃপক্ষ দাবানলের প্রতিক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, দাবানলে ৯৩ জন মারা গেছে বলে শনিবার রাতে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্ধারকারী দল কুকুর লাহাইনা শহরের ভস্মীভূত ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
দাবানলে হাওয়াইয়ের উপকূলীয় ও ঐতিহাসিক শহর মাউই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বেঁচে থাকারা বলেছেন, তাদেরকে কোনো সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়নি।
কেন দ্বীপ শহরটিতে জরুরি সাইরেন বাজানো হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে হাওয়াইয়ের সিনেটর মাজিয়ে হিরোনো আজ বলেন, ‘এ নিয়ে স্টেট অ্যার্টনি জেনারেল তদন্ত করছে। এরপরেই বিষয়টি জানানো হবে।’
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ডেমোক্র্যাট বলেন, ‘আমি এই ট্র্যাজেডির জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করতে যাচ্ছি না। আমরা এখন উদ্ধার কাজে মনোনিবেশ করছি। ঘটনাস্থলে আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ভয়াবহ এই দাবানলে দুই হাজার ২০০ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
মাউই শহরের পুলিশ প্রধান জন পেলেটিয়ার বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র গলিত ধাতুর অবশিষ্টাংশগুলো খুঁজে পাচ্ছি।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বীপ শহরটি পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, দাবানলের আগে ১২ হাজার বাসিন্দার এই শহর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়েও টিকে রয়েছে হাওয়াইন রাজ পরিবারের অবকাঠামো ও দেড়শ বছরের একটি বটগাছ।