পাকিস্তান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিলেন আনোয়ারুল হক

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকরের ছবিটি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকর। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) ইসলামাবাদের আইওয়ান-আই-সদরের প্রেসিডেন্ট ভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি কাকরকে শপথ পড়ান। খবর ডনের।

প্রতিবেদনে পাকিস্তানের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের দিনেই আনোয়ারুল হক কাকরকে শপথ পড়ানো হয়। এ সময় ধূসর বর্ণের একটি স্যুট পড়েছিলেন ৫২ বছর বয়সী এই নতুন প্রধানমন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আসিম মুনির, জয়েন্ট স্টাফ কমিটির প্রধান জেনারেল নাদিম রাজা, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আমজাদ খান নিয়াজি, গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে হাত মেলান নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরে, প্রেসিডেন্ট ভবনে তাঁকে গার্ড অব অর্নার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকরের এখন প্রথম কাজ নির্বাচনের সময়কালে দেশ পরিচালনার জন্য একটি মন্ত্রিসভা নির্বাচন করা।

গত শনিবার এক বৈঠকের মাধ্যমে কাকরকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রেসিডেন্টকে সুপারিশ করেন শেহবাজ শরীফ ও বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ। ২০১৮ সালে বেলুচিস্তানের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সিনেটর নির্বাচিত হন আনোয়ারুল হক কাকর। সিনেটর হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের মার্চে। একইসঙ্গে তিনি প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি সিনেটের ব্যবসা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি, অর্থ ও রাজস্ব, পররাষ্ট্র বিষয়ক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন।

গত ৯ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পরামর্শে পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেয় দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পাকিস্তানের  জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।