জাপানে আঘাত হেনেছে টাইফুন ল্যান, ৯০০ ফ্লাইট বাতিল
জাপানে আঘাত হেনেছে ভয়াবহ টাইফুন ল্যান। ইতোমধ্যে দেশটির মূল ভূখণ্ড হংশু অতিক্রম করেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি। জাপানের সাবেক রাজধানী কিউটোর পাশেই অবস্থিত দ্বীপ শহর হংশু। টাইফুনের জেরে ইতোমধ্যে দেশটিতে প্রায় ৯০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দাকে। বিদ্যুৎহীন প্রায় ৯০ হাজার বাড়িঘর। আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট টাইফুনটি মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোরে রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ওয়াকায়ামা অঞ্চলের দক্ষিণ প্রান্তে আঘাত হানে। শক্তিশালী টাইফুনটি ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের সাথে মধ্য ও পশ্চিম জাপানের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে আছড়ে পড়ে। পশ্চিম জাপানে আঘাত হানার পর ধীরে ধীরে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়।
কর্তৃপক্ষ নদীর তীরের এলাকাগুলোতে বন্য ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করে। ইতোমধ্যে পানির তীব্র স্রোতে কয়েকটি সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় টর্নেডো তৈরি হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, সন্ধ্যা নাগাদ টাইফুনটির শক্তি কমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে রূপান্তরিত হবে।
তবে, আবহাওয়াবিদরা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্ভাবাস দিচ্ছে। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে টাইফুনটি। ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার কবা ৯ দশমিক ৩ মাইল বেগে এটি অগ্রসর হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগটি একই এলাকায় বেশিক্ষণ থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে বন্যার সম্ভাবনা বেড়েছে। জাপানের মধ্যাঞ্চলের অনেক এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৫ মিলিমিটার বা ২৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, টাইফুন ল্যানে দুই ডজনের মতো মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ১১ এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের নিরাপদ ভবনে বা উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাসের জেরে ৯০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেক রাস্তাও বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডজনখানেক ট্রেন পরিষেবা আজ সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধ করা হয়েছে। টাইফুন ল্যানের জেরে মধ্য ও পশ্চিম জাপানের প্রায় ৯০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।