মিয়ানমারে কার্যক্রম বন্ধ করছে এইচ অ্যান্ড এম
মিয়ানমারে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইডেনের জায়ান্ট পোশাক কোম্পানি এইচ অ্যান্ড এম। পোশাক শ্রমিকদের ওপর দমনপীড়নের প্রতিবেদনের পর আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সুইডিশ কোম্পানিটি এই সিদ্ধান্ত নিল। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই পোশাক শ্রমিকদের নিপীড়ন করা হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে ওঠে আসে। খবর এএফপির।
এক ই-মেইল বার্তায় এইচ অ্যান্ড এম এএফপিকে জানিয়েছে, সমস্ত কিছু বিচার-বিবেচনা করে আমরা মিয়ানমারে আমাদের কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যবস্থা ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকারের ক্ষমতার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও দেশটির বিশাল এলাকাযর কর্তৃত্ব নিতে পারেনি।
সুইডিশ জায়ান্ট পোশাক কোম্পানিটি বলছে, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের মান ও প্রয়োজনীয়তা মেনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা দেশটিতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছি।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অধিকার সংস্থা বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রির্সোস সেন্টার। ১৫৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে সংস্থাটি থেকে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। আগের চাইতে গত ১২ মাসে অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে ৫৬টি। ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়, দেশটিতে পোশাক শ্রমিকদের কাজের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এএফপি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকদের নিপীড়নের ২১২টি ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারে। এর মধ্যে ২০ ঘটনা এইচ অ্যান্ড এম কোম্পানির সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এইচ অ্যান্ড এম কোম্পানির তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারে তাদের নিজস্ব কোনো পোশাক কারখানা নেই। তবে, ২৬টি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৯টি কারখানায় কোম্পাটির পোশাক তৈরি হয়।