২০৫০ নাগাদ ১০০ কোটি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগে ভুগবে : গবেষণা

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি এএফপির

অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো এক প্রকার রোগ যা আমাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা অনুভব করায়। ২০৫০ সাল নাগাদ এই রোগে ভুগবে পৃথিবীর ১০০ কোটি মানুষ। দ্য ল্যানসেট রিউম্যাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

১৯৯০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ২০০টিরও বেশি ধরে এই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণাটি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)। 

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে পৃথিবীতে ৩০ বছরের বেশি যত মানুষ রয়েছে তার ১৫ শতাংশই অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। ২০২০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৫৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হন। ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ দশমিক ৬০ লাখ মানুষ। এর মানে দাঁড়ায়, ৩০ বছরে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত বেড়েছে ১৩২ গুণ।

গবেষণায় অস্টিওআর্থ্রাইটিসের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রধানত তিনটি কারণ দেখানো হয়। সেগুলো হলো—বার্ধক্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থূলতা।

আইএইচএমইয়ের প্রধান গবেষক ও এই গবেষণা প্রতিবেদনে অন্যতম লেখক জেইমি স্টেইনমেটজ বলেন, ‘বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ুও বাড়ছে। এতে করে দেশগুলোর স্বাস্থ্য সেক্টরে চাপ বাড়বে। এই পূর্ভাবাস আমাদের আগে থেকেই দিতে হবে।’

গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে স্থূলতা বাড়ছে। আর এতে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্থূলতায় অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত বাড়ায় মূল ভূমিকা পালন করছে।

১৯৯০ সালে প্রথম যখন এই গবেষণা শুরু করা হয় তখন মোট  অস্টিওআর্থ্রাইটিসে মোট আক্রান্তের ১৬ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল স্থূলতা। আর ২০২০ সালে এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২০ শতাংশে।

স্থূলতা সঠিকভাবে মোকাবিল করতে পারলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানো যেতে পারে গবেষণায় বলা হয়। এই গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক লিয়েনে ওএনজি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম বা ব্যায়ামকারীরা অস্টিওআর্থ্রাইটিসে কম ভুগবেন। পরিশ্রমের জন্য ব্যথা হবে না।’

অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে হাত, নিতম্ব ও হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে নিতম্ব ও হাঁটুতে ব্যথা বাড়বে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়া পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই রোগে বেশি ভুগবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২০ সালে পৃথিবীতে যত অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগী ছিলেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশই নারী। আর পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ।