রাশিয়ায় ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম বাণিজ্য, জার্মানিতে গ্রেপ্তার ২
রাশিয়ায় ড্রোনসহ বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয় এমন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ বিক্রির অভিযোগে জার্মানিতে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) ও মঙ্গলবার ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছে সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রির অভিযোগে সোমবার এক সন্দেহভাজন জার্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর একদিন পরই আজ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমারা, যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র সম্পর্কিত বিষয়ও। নিষেধাজ্ঞার ফাঁক ফোকর খুঁজছে রাশিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারীরা।
আজকে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বিষয়ে ফেডারেল প্রসিকউটর বলেন, ‘সন্দেহভাজনের নাম ওয়াল্ডেমার ডব্লিউ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ার একটি কোম্পানির কাছে ২৬ দফায় ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। ওই কোম্পাটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করে।’ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পশ্চিম জার্মানিতে ওয়াল্ডেমারের যে কোম্পানি রয়েছে সেটি দিয়েই তিনি যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছেন। ওরলান ১০ মডেলের ড্রোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ পাঠিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ বাহিনী বর্তমানে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে সেগুলোতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশও পাঠিয়েছে ওয়াল্ডেমার।’
এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় হামলার জেরে রাশিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ব্লকটি। এর ফলে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে অস্ত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জাম কিনতে পারতো না রাশিয়া।