‘কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়া’ করল উত্তর কোরিয়া

Looks like you've blocked notifications!
উত্তর কোরিয়া কৌশলগত পারমাণবিক হামলার অনুকরণে মহড়া চালিয়েছে। ছবি : এএফপি

‘কৌশলগত পারমাণবিক হামলার’ অনুকরণে মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এতে দুটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেশটি প্রস্তুত থাকবে বলে ‘শত্রুদের সতর্ক’ করতে শনিবার ভোরে এ মহড়া চালানো হয়। একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিরোধ জোরদারে পুনরায় অঙ্গীকার করা হয়েছে।

মক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনকারী দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় পীত সাগরের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেগুলো পূর্বনির্ধারিত ১৫০ মিটার উচ্চতায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পিয়ংইয়ং চালানো ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং সামরিক মহড়ার মধ্যে এটি ছিল সর্বশেষ। এর মধ্যে দেশটির একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন মহড়া উলচি ফ্রিডম শিল্ড টানা ১১ দিন চলার পরে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) শেষ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে বি-ওয়ান বি বোমারু বিমানও। উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে এই মহড়াকে যুদ্ধের মহড়া বলে নিন্দা জানিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েনের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটি।

সফল পারমাণবিক হামলার মহড়া নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের রোববারের দাবি প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে বলেন, ‘এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার আজ সকালে দেওয়া ঘোষণাটি অতিরঞ্জিত। তারা সবকিছুতে সফল হয়নি।’ 

কেসিএনএ রোববার এক পৃথক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিতে দেশটির নেতা কিম জং উন পুকজং মেশিন কমপ্লেক্স এবং একটি বড় অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কিম একটি প্রশিক্ষণ কমান্ড পোস্টও পরিদর্শন করেছেন, যেখানে তিনি দক্ষিণের মূল সামরিক পোস্টে একযোগে অত্যন্ত তীব্র হামলা চালানোসহ ভবিষ্যতের যুদ্ধ পরিকল্পনার বিবরণ দিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন ও সিউলের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক প্রতিরোধ বাড়াচ্ছে। এছাড়া গত মাসে উভয়ের মধ্যে হওয়া সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তির সমালোচনা করেছে দেশটি।