রাশিয়া ছাড়লেন কিম, উপহার হিসেবে কী পেলেন?

Looks like you've blocked notifications!
সাঁজোয়া ট্রেনে করে রাশিয়া যান উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। এএফপির ফাইল ছবি

ছয়দিনের সফর শেষে রাশিয়া ছেড়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাঁজোয়া ট্রেনে করে মস্কো ছাড়েন কিম। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, অতিমারী করোনাভাইরাসের প্রাদুভার্বের পর দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো সফরে যান কিম। পুরোনো মিত্র রাশিয়ায় সফর করেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা। এই সফর মূলত সামরিক বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। আর সফরটি পশ্চিমাদের ভয়কে উসকে দিয়েছে। সফরে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষোধাজ্ঞা দেওয়া বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমারা।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তি কিমের প্রস্থানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন থেকে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের দিকে হাত নাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছেন কিম। এ সময় সেখানে রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী আলেকজান্ডার কোজলভের নেতৃত্বে একটি  প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, কিমকে বিদায় জানাতে আর্টিয়ম-প্রিমর্সকি-১ স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা তাস বলছে, ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) দূরে সীমান্তের দিকে যাচ্ছে কিমবাহী ট্রেনটি।

আজ সকালে এক প্রতিবেদনে তাস জানিয়েছে, উপহার হিসেবে কিমকে পাঁচটি বিস্ফোরক ড্রোন, একটি রিকনেসান্স ড্রোন ও একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট দেন প্রিমোরিয়ে অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নর। পাঁচটি বিস্ফোরক ড্রোনই ইরানের কামিকাজ মডেলের।

এএফপি জানিয়েছে, শনিবার বন্দর শহর ভ্লাদিভোস্তকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিম। শহরটিতে থাকা রাশিয়ার পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম বোমারু বিমান, হাইপারসনিক মিসাইল ও যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেন কিম।

সফরের আগে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, এই সফরে সম্ভবত মস্কো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে আর্টিলারি শেল ও অ্যান্টিট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র চাইবে। অন্যদিকে, উন্নত স্যাটেলাইট ও পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি চাইবে পিয়ংইয়ং। তবে, এই সফরে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। 

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ কিমের সফরকে উষ্ণ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি ও সহযোগিতার একটি নতুন যুগ শুরু হচ্ছে।