দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সিনেটর
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সিনেটর রাবর্ট মেনেনডেজকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মেনেনডেজের বিরুদ্ধে ঘুষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বলেছেন, উচ্চ পদস্থ ডেমোক্র্যাটের বাড়িতে সোনার বার ও কয়েক হাজার ডলার নগদ পাওয়া গেছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মেনেনডেজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছিল। এর একটিতে বিচার বিভাগ বলছে, মেনেনডেজ একজন মিসরীয়-মার্কিন ব্যবসায়ীকে সহায়তার জন্য মিসর সরকারকে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
৬৯ বছর বয়সী মেনেনডেজ একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও নিউ জার্সির সিনেটর। আট বছর আগে মিসর সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগটি ওঠে তার বিরুদ্ধে। যা ছিল মেনেনডেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দ্বিতীয় অভিযোগ। নিজ সার্জির ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্য থেকেই তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। অভিযুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদেই মেনেনডেজ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল প্রসিকিউটর ডামিয়ান উইলিয়ামস বলেন, ‘অভিযুক্ত সিনেটর ও তার স্ত্রী অবৈধভাবে ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে হাজার হাজর ডলার ঘুষ নিয়েছেন। মিসরের সরকার ও গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই ঘুষ নিয়েছিলেন।’
এক বিবৃতিতে অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন মেনেনডেজ। এটিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। মেনেনডেজ বলেন, ‘কংগ্রেসনাল কার্যালয় স্বাভাবিক কাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।’
প্রসিকিউটররা বলছেন, মেনেনডেজের নিউ জার্সির বাড়ি ও তার স্ত্রীর ডিপোজিট বক্স থেকে নগদ পাঁচ লাখের বেশি ডলার পাওয়া গেছে। নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ী থেকে তারা এ অর্থ পেয়েছিল। বেশিরভাগ নগদ অর্থ খামে, বক্সে ও জ্যাকেটে পাওয়া গেছে। যেগুলো বাড়ির চারপাশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ১৫ লাখ ডলার মূল্যের সোনার বার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জের গাড়িও পাওয়া গেছে। যেগুলো আরেক ব্যবসায়ী দিয়েছিল।
প্রসিকিউটররা বলেন, ‘মেনেনডেজ দম্পতির বাড়িতে যেসব নগদ অর্থ ও সোনার বার পাওয়া গেছে সেগুলো যে ঘুষের তার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। সোনার বারের বর্তমান মূল্য কত তা জানতে গুগলে সার্চ দিয়েছিলেন মেনেনডেজ।’