নাইজার থেকে দূত ও সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা ফ্রান্সের

Looks like you've blocked notifications!
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

নাইজারে গত জুন মাসে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা। এরপর থেকে ফ্রান্সের সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি করছে দেশটির জনগণ। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। অবশেষে, আফ্রিকার দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘নাইজার থেকে ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের দূত ও বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘দেশটিকে আমরা আর সামরিক সহায়তা দেব না। সেখানে অবস্থানরত দেড় হাজার সৈন্যকে প্রত্যাহার করা হবে। সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের জন্য আগামী বছর পর্যন্ত লাগতে পারে।’

আল-জাজিরা বলছে, নাইজারের সামরিক জান্তা ও জনগণের বিক্ষোভের কয়েক সপ্তাহ পর ফ্রান্স থেকে এই ঘোষণা এল। সম্প্রতি দেশটির রাজধানী নিয়ামেসহ ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এ সময় জনতা ‘ফ্রান্সের সেনাবাহিনী আমাদের দেশ ছেড়ে যাও’ লেখা ব্যানারও বহন করে।

নাইজারে ২০২১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মোহামেদ বাজোম ছিলেন ফ্রান্সের অনুসারী। ওই নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তবে, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতেই ২৬ জুলাই বন্দি হন। আর এই ঘটনার পরপর প্যারিস বাজোমের পক্ষ নিলে ‘জিহাদপন্থী’ বিরোধী লড়াইয়ে নাইজারের অন্যতম সহযোগী ফ্যান্সের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

গত ৩ আগস্ট নাইজারের সামরিক জান্তা ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে। দেশটিতে দেড় হাজারেরও বেশি ফরাসি সৈন্য এই অঞ্চলে জিহাদপন্থী বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করে আসছে। তবে প্যারিস সামরিক চুক্তি বাতিলের বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে নাইজারের সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।