নয় মাসে ‘ডারিয়েন গ্যাপ’ পার হয়েছেন চার লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী

Looks like you've blocked notifications!
কলম্বিয়া-পানামার মধ্যকার বিপজ্জনক জঙ্গল ‘ডারিয়েন গ্যাপ’ পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এএফপির ফাইল ছবি

কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যকার বিপজ্জনক জঙ্গল ‘ডারিয়েন গ্যাপ’। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য এই এলাকাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। চলতি বছর বিপজ্জনক এ জঙ্গল অতিক্রম করেছেন চার লাখেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। পানামা সরকার বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ডারিয়েন গ্যাপ ব্যবহারকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছরে এ পর্যন্ত রুটটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬২ শতাংশ।

কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যে ১৬৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এই ঘন জঙ্গলে রয়েছে হিংস্র বন্যপ্রাণী ও নদী। এছাড়া রয়েছে অপরাধীরাও, যারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটক করে সর্বস্ব কেড়ে নেন। এমনকি, জঙ্গলে পথ চিনিয়ে দেওয়ার জন্যও অর্থ দাবি করেন তারা। এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আমেরিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষায় এই ভয়ঙ্কর জঙ্গল অতিক্রম করতে পিছপা হন না।

ঘন জঙ্গল পাড়ি দিতে গিয়ে কতজন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন, সে সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই পানামা কর্তৃপক্ষের কাছে। দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় বলেছে, গত বুধবার পর্যন্ত চার লাখ দুই হাজার ৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ডারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করেছেন। জঙ্গলটি অতিক্রমকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলম্বিয়ার নাগরিক। প্রতিদিন গড়ে চার হাজার কলম্বীয় ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিচ্ছেন। এছাড়া ভেনিজুয়েলা, হাইতি, ইকুয়েডর, চীন ও আফগানিস্তানের নাগরিকরাও এ তালিকায় রয়েছেন।

এদিকে, অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় পানামা সরকার বিভিন্ন স্থানে সহায়তাকেন্দ্র স্থাপন করেছে।