সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পিটার হাস

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তার সরকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যেন মিডিয়াগুলো তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ভিসা নীতি ও মিডিয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তার জবাবে এক চিঠিতে একথা বলেন তিনি। এমনটি জানিয়ে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজেও পোস্ট করা হয় চিঠিটি।

২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ উল্লেখিত চিঠি আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পোস্ট করে দূতাবাসের পেজে বলা হয়, ‘প্রিয় মাহফুজ, আপনার চিঠির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাম্প্রতিক চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে সাক্ষাৎকারের সময় আমার বিবৃতি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি খুশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিক ও মিডিয়াগুলোর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগের অধিকার রক্ষা করে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের যেকোনো নীতিতে জনসাধারণকে স্বাগত জানাই।

সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন যেমন ২৪ মে ভিসা নীতি ঘোষণার সময় বলেছিলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া—সবার দায়িত্ব।  সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালনের অনুমতি দিতে হবে।

‘ব্লিঙ্কেনের বক্তব্য পরিষ্কার ছিল’ জানিয়ে হাস ওই চিঠিতে আরও বলেন, ‘নীতিটি যেকোনো বাংলাদেশির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করায় দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে এই নীতি প্রযোজ্য হবে।’ মিডিয়ার মত প্রকাশে বাধাদানকারীদের ওপরও এই নীতি প্রয়োগ হবে। 

পিটার হাস আরও বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সমর্থন অব্যাহত রাখব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধাপ্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলব এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেব।’

এরপর রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিঙ্ক সংযুক্ত করেন।