হুমকিতে গাজার হাসপাতাল, জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্র
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সংঘাত এখন গড়িয়েছে রীতিমতো যুদ্ধে। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) তা পঞ্চম দিনে পৌঁছেছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলটি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোটা গাজা বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এর মূলে রয়েছে জ্বালানি সংকট। আর এমনটি হলে উপত্যকাটির হাসপাতালগুলোও হুমকিতে পড়বে। খবর আল-জাজিরার।
আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, উপত্যকা একটি আসন্ন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। জ্বালানি হ্রাসের কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে উপত্যকাটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার হুমকি রয়েছে। যা, সমস্ত মৌলিক পরিষেবা প্রদান চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব করে তোলে। কারণ, সমস্ত কিছুই বিদ্যুতের ওপর নির্ভর।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় গাজা উপত্যকার সমস্ত বাসিন্দাদের মানবিক সংকট আরও প্রকট করবে। প্রতিবেশীর অব্যাহত আগ্রাসন ও শত শত টন বিস্ফোরকসহ সমস্ত আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বোমা হামলার ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। আধুনিক এই সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসনকে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া আহ্বান জানানো ওই বিবৃতিতে।
এদিকে, পশ্চিম তীর ও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির হামলায় ফিলিস্তিনের তিন চিকিৎসক নিহত হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী আল-জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় গাজায় নিযুক্ত জাতিসংঘের নয় কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের রিলিফ এন্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) এ তথ্য স্বীকার করেছে।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের হেডকোয়ার্টারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাৎক্ষণিকভাবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আল-জাজিরার তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত এক হাজার ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও পাঁচ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। ইসরায়েলেও নিহত হয়েছে হাজারেরও বেশি।