জাপানের সমুদ্রজাত পণ্যে চীনের পর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!
জাপানের সোমার মাতসুকাওআরুয়া বন্দরে ট্রলারে সমুদ্র থেকে ধরে আনা মাছ। ছবি : এএফপি

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্য পানি ছাড়ার জেরে জাপান থেকে সমুদ্রজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল চীন। একই পথে হাঁটছে দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। টোকিও থেকে সমুদ্রজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) রুশ কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে  এএফপি।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেন আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাপান। আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে তারা। আর টোকিও ও বেইজিংয়ের সম্পর্কও আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে।

কৃষি পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা রাশিয়ার সংস্থা রোসেলখোজনাদজোর জানিয়েছে, জাপান থেকে মাছ ও সামুদ্রিক পণ্য আমদানিতে চীনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থায় যোগ দিচ্ছে রাশিয়া। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ থেকেই কার্যকর করা হবে এই পদক্ষেপ।

রাশিয়ার সংস্থাটি বলছে, সামুদ্রিক পণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ তথ্য না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

২০১১ সালের মার্চে ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় টোকিওর ফুকুশিমা-দাইছি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লিকে শীতল রাখার জন্য ওই পানি ব্যবহার করা হয়। হিসেব অনুযায়ী, চুল্লি শীতল করতে ব্যবহৃত হওয়া ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন তেজস্ক্রিয় পানি সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা দিয়ে ৫০০টিরও বেশি অলিম্পিক গেমসের সুইমিং পুল ভরে ফেলা সম্ভব। ধাপে ধাপে এই পানি সাগরে ফেলছে জাপান।

পারমাণবিক চুল্লি শীতল রাখার এই পানি সাগরে ফেলার বিরোধিতা আগে থেকেই করে আসছিল চীন। এর জেরে জাপানের সমুদ্রজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং। তবে, চীনের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক ও অবৈজ্ঞানিক বলে অভিহিত করেছে জাপান।

এদিকে, রাশিয়ার নেওয়া সদ্য সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের করার আহ্বান জানিয়েছে জাপান। তারা এই পদক্ষেপকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।