গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জাতিসংঘ মহাসচিবের

Looks like you've blocked notifications!
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আগে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের সঙ্গে কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। ছবি : এএফপি

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। সেখানে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার জবাব দিতে গাজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। খবর এএফপির।

নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংঘাতে উভয় পক্ষের কয়েক হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অকার্যকর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানান।

নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে গুতেরেস গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর সহিংসতাকে কোনো অজুহাত হিসেবে দেখানো চলবে না উল্লেখ করে ফিলিস্তিনিদের সম্মিলিত শাস্তি প্রদান প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন।

স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের নাম উচ্চারণ না করে জাতিসংঘ মাহাসচিব গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের যে ঘটনা দেখা যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি আরও পরিষ্কার করে বলছি, সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত কেউ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

হামাসের আক্রমণ সম্পর্কে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘শূন্য থেকে এটা হয়নি, কেননা ফিলিস্তিনিরা ৫৬ বছর থেকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির শিকার।’

গুতেরেসের এই মন্তব্যে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় আঙুল তুলে উচ্চস্বরে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক এ হামলায় শিশুসহ নিহত ও আহত বেসামরিক নাগরিকদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

কোহেন প্রশ্ন রাখেন, ‘জনাব মহাসচিব, আমরা কোন দুনিয়ায় বাস করছি?’ তিনি সহিংসতাকে দখলদারিত্বের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল ২০০৫ সালে সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে গাজা ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দিয়েছিল।’

এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে মহাসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ প্রধান সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বোঝাপড়ার কথা বলছেন।’