তিন নৌকায় ইন্দোনেশিয়া পৌঁছাল পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা

Looks like you've blocked notifications!
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে নৌকা থেকে নামছে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নাগরিকরা। ছবিটি গত ১৬ তারিখে তুলেছিল এএফপি

তিনটি নৌকা দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছেছে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা। দেশটির স্থানীয় সময়ে আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) সেখানে পৌঁছায় মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরা। জাতিসংঘের একটি সহযোগী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের মতে, ২০১৭ সালে সামরিক দমন-পীড়নের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রাহিঙ্গা এবারই ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাল। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারে চরম নির্যাতনের শিকার মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল সমুদ্র ভ্রমণ করে। নৌকায় করে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে তারা।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ফয়সাল রহমান এএফপিকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা আচেহ প্রদেশের বিরুউয়েন জেলায় পৌঁছে। সেই নৌকায় ২৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ছিল। আচেহ প্রদেশের পিডেয় অঞ্চলে ২৩৯ রোহিঙ্গাবাহী আরেকটি নৌকা পৌঁছেছে। এছাড়া আচেহ প্রদেশের পশ্চিমে আরও একটি রোহিঙ্গাবাহী নৌকা পৌঁছেছে। ওই ছোট নৌকাটিতে ৩৬ রোহিঙ্গা রয়েছে।’ ফয়সাল রহমান বলেন, ‘২৫৬ রোহিঙ্গা যে নৌকাটিতে রয়েছে সেখানে ১১০ জনের বেশি নারী ও ৬০ জনের মতো শিশু রয়েছে।’

ইউএনএইচসিআরের এই কর্মকর্তার তথ্যমতে, ২৫৬ জন্য রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটিকে গত বৃহস্পতিবার সমুদ্রের দিকে ঠেলে দেয় আচহের স্থানীয়রা। ফয়সাল রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি নিশ্চিত হয়েছি। নৌকাটিতে থাকা অনেককে শনাক্ত করতে পেরেছে নিরাপত্তা কর্মীরা।’

এএফপি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে আচেহ প্রদেশে নৌকা করে ৮০০ জন রোহিঙ্গা পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ১৯৬ জন ও বুধবার ১৪৭ জন আচেহ প্রদেশে পৌঁছান।

এএফপির একজন সাংবাদিক রোহিঙ্গাদের বিরুউয়েন উপকূলে নামতে ও নৌকা নোঙর করতে দেখেছেন। আশ্রয়প্রার্থীদের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে। তবে এসব রোহিঙ্গাদের ভাগ্য নির্ধারণে তাকিয়ে থাকতে হবে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষের ওপর।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ২০২২ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ঙ্কর সমুদ্র পথ অতিক্রম করে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। আর সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে নিখোঁজ বা মারা পড়েছে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নাগরিক।