ইকুয়েডরে মাদকবিরোধী কঠোর আইন পাস নতুন প্রেসিডেন্টের  

Looks like you've blocked notifications!
ইকুয়েডরের নতুন প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া। ছবি : এএফপি

মাদক দমননীতিতে ঢিলেঢালা মনোভাব দেখিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাদক সেবনকারীদের বদলে কারবারিদের ওপর নজরদারি বেশি রাখেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে, ক্ষমতায় এসেই মাদক সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন ইকুয়েডরের নতুন প্রেসিডেন্ট।

দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) পাস হওয়া নতুন মাদক বিরোধী নীতি অনুযায়ী, স্বল্প পরিমাণ মাদকও রাখা যাবে না। মাদকের ছোটখাটো পাচার রুখতেই এমনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, চলতি মাসের ২৩ তারিখে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বামপন্থি রাজনীতিক ড্যানিয়েল নোবোয়া। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সমাজতান্ত্রিক দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার মাদক সংশ্লিষ্ট গৃহীত নিয়মগুলো বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। ২০১৩ সালে রাফায়েল কোরেয়া ভোক্তাদের পরিবর্তে মাদকের কারবারিদের ওপর পুলিশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি, ছোটখাটো মাদকের চালান নিয়েও উদার ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।

গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই মাদক আইন পরিবর্তন করেন নোবায়া যেমনটি তিনি নিজের নির্বাচনি প্রচারণায় রেখেছিলেন। প্রচারণায় নোবোয়া বলেছিলেন, স্কুলে ছোটাখাটো মাদকের চালান গোটা একটি প্রজন্মকে মাদকাসক্ত করে দিতে পারে।

কলম্বিয়া ও পেরুর কোকেন পাচারের জন্য শান্তিপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইকুয়েডর। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি বেশ সহিংস হয়ে উঠেছে। এর মূলে রয়েছে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেক্সিকান ও কলম্বিয়ান কার্টেলের সংঘর্ষ। আর সহিংসতা দিনকে দিন বাড়ছেই।

নতুন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া বলেছেন, ‘সহিংসতা কমাতে প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। সহিংসতা প্রতিরোধে রাস্তায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হতে পারে। এমনকি, নাগরিকদের স্বাধীনভাবে চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে।’